মাসকয়েক আগে চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপণ ও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রজ্ঞানের অবতরণে গর্বিত হয়েছিল গোটা দেশ। ইসরোর এই বিশেষ মিশনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়ার ভূমিপুত্র, অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিজ্ঞানী ড.পীযূষ কান্তি পট্টনায়েক। সম্প্রতি নিজের গ্রামের বাড়িতে এসেছেন পীযূষ বাবু। মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে পীযূষবাবুদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা জানানো হলো এই কৃতি বিজ্ঞানীকে।
সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কুইজ কেন্দ্রের সদস্য-সদস্যারা। তাদের সামনে বক্তব্য রাখেতে গিয়ে ড.পট্টনায়েক জানান, তাঁরা কিভাবে চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, চন্দ্রযান-৩ মিশনকে সাফল্য মন্ডিত করে তুলেছেন।মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞানীর হাতে উত্তরীয়, মানপত্র, পুস্তক, চারা গাছ ও পুষ্পস্তবক তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মাইতি, ভাস্করব্রত পতি, আলোক মাইতি, মনোরঞ্জন মান্না, মুকুলপ্রসাদ পাল, শুভাশিস প্রধান, নবকুমার সাহু, মৃনাল চক্রবর্তী, প্রদীপ চক্রবর্তী প্রমুখরা। ছিলেন কুইজ কেন্দ্রের শুভানুধ্যায়ী সত্যেন্দ্রনাথ মান্না ও পাঁশকুড়া ফায়ার ব্রিগেডের স্টেশন অফিসার দিলীপ পট্টনায়েক, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া প্রলয়, রাজশ্রী সহ অন্যান্যরা।
এছাড়াও পাঁশকুড়ার উত্তর কাঠাল গ্রামে ড.পট্টনায়েকের বাড়িতে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পীযূষ বাবুর বাবা দিলীপ পট্টনায়েক, সহধর্মিনী ঐন্দ্রিলা পাল পট্টনায়েক, ভাই প্রীতম পট্টনায়েক। শত আনন্দের মাঝেও সদ্য মাতৃহারা পীযুষ বাবুর গলায় ছিল আক্ষেপের সুর। আজ এই জায়গায় পৌঁছানোর পেছনে যে মায়ের অবদান অপরিসীম তা উল্লেখ করে মা অনিমা দেবীর শূন্যতা তিনি প্রতিমুহূর্তে অনুভব করছেন বলে জানান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন পীযুষ বাবুর মা অণিমা পট্টনায়েক। কুইজ কেন্দ্রের তরফে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সম্মান জ্ঞাপনও করা হয়।
