বাংলার পড়ুয়াদের উচ্ছ ভবিষ্যতের জন্য ২০২১ সালের ১লা জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা চালু করেন। এই কার্ডের সাহায্যে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাবে পড়ুয়ারা। যাতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না থাকলেও নিজেদের পড়াশোনা করতেন পারে তারা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ব্যাঙ্কের কারণে অসুবিধার মুখে পরতে হয়েছে অনেক পড়ুয়াকেই। ঠিক সেরকমই চিত্র দেখা গেল বারাসাত বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশের চাঁপাডালি শাখায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , বছর ঘুরতেও লোনের টাকা মেলেনি। ফলে ব্যাঙ্গুলুরুতে নার্সিং পড়তে যাওয়া হচ্ছে না ছাত্রীর। কোনোভাবেই ছাত্রীর পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে পারছে না পরিবার। দিনের পর দিন ব্যাঙ্কে আসলেও কোনো রকম সহযোগিতা তারা পাননি। সরকারি নথিপত্র জমা দিলেও মেলেনি লোনের টাকা। শনিবার ম্যানেজারকে জানালে তিনি তার উপরের কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।তবে পরিবারের দাবি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের গাফিলতির কারণেই এমন বিপত্তির সৃষ্টি হচ্ছে বারবার।
এপ্রসঙ্গে ছাত্রীর মা জানিয়েছেন,‘দিনের পর দিন আজ নয় কাল করে ঘোরাচ্ছে। ওদিকে মেয়ে কলেজের ফি দিতে পারছে না। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই বছর সেপ্টেম্বর আসতে গেল তাও কোনও সুরাহা মিললো না। উল্টে আমাদের কাছে ২১হাজার চান ম্যানেজার। বারবার জিজ্ঞাসা করার সত্ত্বেও বলেননি তিনি। শেষে শিক্ষা দফতরে ফোন করলে তারা জানান এররম কোনও নিয়ম তাদের নেই। সমস্ত নিয়ম ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে দেখে নিতে। শেষমেশ সাংবাদিকের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।জানিনা আদতে এই টাকা পাবো কিনা, মেয়েকে পড়াতে পারবো কিনা!’
অন্যদিকে ১৫নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন,‘এক স্টুডেন্টের মা আমার কাছে এসেছিলেন। কালকেই তিনি প্রথম আসেন এবং গোটা ব্যাপারটা আমাকে জানায়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রোজেক্ট স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। তাতে ব্যাঙ্কের কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। যদি কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এরকম করে থাকে তাহলে তা অন্যায়। ব্যাঙ্কের উপর মহলের কর্তৃপক্ষকে তা জানানো উচিত। যাতে সে শাস্তি পায়’।