Keshiyari : তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, দীঘা থেকে পাকড়াও সিআইডি-র

Keshiyari : তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, দীঘা থেকে পাকড়াও সিআইডি-র

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে ঝাড়েশ্বর সাঁতরার খুনের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ফটিক পাহাড়ীকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। শুক্রবার গভীর রাতে দীঘা থেকে ফটিক সহ মোট ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন করেছে সিআইডি-র তদন্তকারীরা। সদ্য দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন ফটিক পাহাড়ী।

২০১৭ সালের ঘটনা। কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে ঝাড়েশ্বর সাঁতরা দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে নছিপুরে গিয়েছিলেন। রাতে বাইকে ফেরার সময় ভসরাঘাটের কাছে তাঁর উপর হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে তির ছোড়া হয়েছিল। পায়ে তির লাগায় বাইক থেকে পড়ে যান মৃত্যুঞ্জয়৷ এরপর তাঁর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে রাস্তার ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে সরব হয়েছিল তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত করলেও, পরে তদন্তভার যায় সিআইডি-র কাছে৷

আরও পড়ুন:  Medinipur : শহরবাসীর জন্য সুখবর, তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাসের ঘোষণা দিলীপের

অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বিগত প্রায় এক মাস ধরে উত্তপ্ত কেশিয়াড়ি। সমিতির ২৭ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ২৩ জন। কিন্তু সমিতির সভাপতি হিসাবে ফটিক পাহাড়ি ও উত্তম শীট, দুইজনের নাম উঠে আসে। যা কেন্দ্র করে বিভাজন ঘটেছে সদস্যদের মধ্যে। গত ১০ আগষ্ট বাতিল হয়ে যায় বোর্ড গঠন। এরপরেই ফটিক পাহাড়ীকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। ফটিক সহ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের ১৫ জন জয়ী প্রার্থী। তারই মধ্যে খুনের ঘটনায় সিআইডি-র হাতে গ্রেপ্তার হলেন ফটিক। জানা গিয়েছে, ধৃতদের শনিবার মেদিনীপুর আদালতে পেশ করা হতে পারে।

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ