উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের দত্তপুকুরে রবিবার সকালে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রায় ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও মৃতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে ১ জনের মৃত্যু হয়।এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন মহিলা, ৩ জন পুরুষ। আহতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণের জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে বারাসাত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। বিস্ফোরনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে কংক্রিটের বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। ৫০-১০০ মিটার দূরে এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে মৃতদেহ। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক মদতে এলাকায় চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা। ঘটনাস্থলে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপরে চড়াও হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। বারাসাত জেলা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে যায় এবং দমকল বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে দত্তপুকুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপ। বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক দল তৃণমূলের দিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই অপদার্থ দল যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন রাজ্যের মানুষ মরতেই থাকবে।” এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছেন, ঘটনায় স্থানীয় আইএফএফ নেতা জড়িত। পাল্টা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তৃণমূলকেই অভিযুক্ত করেছেন।