সারা পৃথিবীতে ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় খ্রিস্টমাস। খ্রিস্ট ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। কিন্তু ঔপনিবেশিক নিয়মে আজ তা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের খ্রিস্টানদের বিভিন্ন শাখায় অন্যান্য দিনেও পালিত হয় এই উৎসব।
যীশুর জন্মকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসব, পরিবারের মানুষজনের এক সাথে হওয়া, কেক খেয়ে উদযাপন। বাঙালিরা দিনটিকে আপন করে নিয়ে পরিণত করেছে বড়দিনের উৎসবে। আলোর মেলায় ও প্রার্থনা সঙ্গীতে মুখরিত হয়ে ওঠে চার্চগুলি। সারা বিশ্বে প্রধানত পশ্চিমীয় খ্রিস্টানদের ধারায় ২৫ ডিসেম্বর দিনটিই এই সমারোহের দিন। কিন্তু গ্রিস ও রোমান সভ্যতা থেকে খ্রিস্টানিটিকে গ্রহণ করা বহু মানুষ ছাড়াও পশ্চিম এশিয়া, উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, মালাবার উপকূলের বহু মানুষ যাঁরা মেনে চলেন ওরিয়েন্ট অর্থোডক্স চার্চের নিয়মাবলী। তাঁরা খ্রিস্টমাসের দিনটি পালন করেন ৭ জানুয়ারি। তাদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ।
আরও আছে। আর্মেনিয়ান চার্চকে মেনে চলা অনেক মানুষ এই দিনটি পালন করেন ৬ জানুয়ারি। আবার জেরুজালেমের কিছু আর্মেনিয়ান চার্চকে মেনে কিছু মানুষের কাছে দিনটি ১৯ জানুয়ারি। দিনটি যাই হোক, আসলে যীশুকে কেন্দ্র করে আজ তা সার্বজনীন উৎসব।