২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টমাস ডে অর্থাৎ বাঙালির বড়দিন। বাঙালি তো সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বনাগরিক। তাই ক্রিস্টমাস বাঙালির বড়দিন হয়ে উঠে পিকনিকের দিন। শীতের এই দিনটির জন্য কচিকাঁচা থেকে বড়রা সকলেই মুখিয়ে থাকে। কেউ গাড়িতে, কেউ ট্রাকে, কেউ বা ইঞ্জিন ট্রলিতেই গ্যাস, স্টোভ, কড়া, খুন্তি বেঁধে নিয়ে হাজির হয় দূরে বা কাছের কোনো পিকনিক স্পটে৷ শীতের রোদ গায়ে মেখে রান্না বান্না, পেটপুজো, ব্যাটমিন্টন, ক্রিকেট, গল্প, আনন্দ, হইচই সব মিলিয়ে সাড়ে বত্রিশ ভাজা উপভোগ!
এই দিন রাজ্যের বিভিন্ন পিকনিক স্পটগুলিতে মেলা বসে যায় পিকনিক পার্টির। বাজে বক্স, মাইক। চলে রান্না, খাওয়া দাওয়া! কিন্তু এই বড়দিনেই জেলার পিকনিক স্পটগুলি পিকনিক পার্টিগুলির ফেলে যাওয়া বর্জ্যে নরক হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্লাস্টিকের কাপ, থার্মোকলের পাতা, প্যাকেট ডাঁই হয়ে পরিবেশকে করে তোলে দূষিত। তবে পরিবেশ সচেতন মানুষদের প্রচার ও পিকনিকে আসা মানুষদের শুভবুদ্ধির কারণে এখন অনেকেই সচেতন এই বিষয়ে। তাঁরা খাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন শালপাতার তৈরী থালা, প্লেট, বাটি। ব্যবহৃত হচ্ছে কাগজের কাপ। সেগুলি সহজেই মিশে যাবে প্রকৃতির সঙ্গে।
কিন্তু সচেতনার এখনও অভাব বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই। ফলে দিনের শেষে পিকনিক স্পটগুলি ভরে থাকে বহু প্লাস্টিক নির্মিত বর্জ্যে। তাই পরিবেশের ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে পিকনিকে মেতে উঠেও সতর্ক থাকুন। শালপাতা, কাগজ প্রভৃতি উপকরণে তৈরি জিনিস যেমন পরিবেশকে রক্ষা করবে, তেমনই জঙ্গলমহলের ছোট কুটির শিল্পগুলিকেও অর্থনৈতিক প্রাধান্য জোগাবে৷ বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে, নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। পরিবেশের সুস্থতা বজায় থাকলে ল, আমরাও সুস্থ জীবন বাঁচবো।