২৫ ডিসেম্বর জিশুর জন্মদিন কিনা এই বিষয়ে বিতর্কের থাকলেও খ্রিস্টমাস যে এখন বাঙালিরও উৎসব এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। শীতের শুরুর নিম্নচাপের মেঘ কেটে গিয়েছে। শুরু হয়েছে উত্তুরে বাতাসের সাথে শীতের শিরশিরানী। খ্রিস্টধর্মের ১২ দিন ব্যাপী ক্রিসমাসটাইড অনুষ্ঠানও সামনে। ক্যারলের ঝঙ্কার, গির্জায় গির্জায় বিশেষ উপাসনা, গ্রিটিংস কার্ড বিনিময়, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো সঙ্গে রকমারি ভোজ দিয়ে চলবে বাঙালির ‘বড়দিন’।
কলকাতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আদি উপনিবেশ। একদা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানীতে প্রথম আর্চবিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৩ সালে লিখেছেন, ডালহৌসি এবং চৌরঙ্গি অঞ্চলের সাহেব পাড়ার ক্রিস্টমাস পালনের কথা। এরপর কলকাতার পঞ্চম বিশপ, ড্যানিয়েল উইলসনের উদ্যোগে ১৮৩৯ সালে তৈরি হল সেন্ট ক্যাথিড্রাল চার্চ। কলকাতাবাসী বাঙালিরও টান বাড়লো। একসময় বড়লাটের প্রাসাদের উৎসবে বাংলার বহু জায়গার রাজকর্মচারী ও সেনা কর্তারা নিমন্ত্রিত থাকতেন।
তারপর ধীরে ধীরে খ্রিস্টমাস হয়ে উঠলো ছুটি, চড়ুইভাতি, বেড়াতে যাওয়া, চিড়িয়াখানা এবং অতি অবশ্যই কেক খাওয়ার দিন। সঙ্গে আবার প্রাপ্তবয়স্কদের কারণ-বারি। বড়দিনের আর একটি অপরিহার্য অঙ্গ ক্রিসমাস ক্যারল, যা সম্প্রদায়ের লোক সংগীত। রবীন্দ্রনাথ থেকে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ থেকে বেলুড় মঠ। খ্রিস্টমাস এখন বড়দিন হয়ে সর্বত্র বিদ্যমান।