লালগড়: ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারী, শীতের এই সময় গুলো ভ্রমন পিপাসু বাঙালি মেতে ওঠে পিকনিকে। শিতের পরশ গায়ে মেঘে, লেগে থাকে একটু আধটু ঘোরাঘুরি। তবে কম খরচে ঘোরাঘুরি ও পিকনিকের জন্য আপনার অপেক্ষায় রয়েছে লালগড়। ভ্রমন প্রেমিদের কাছে ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন গন্তব্য হতে পারে লালগড়।
বাইকে নিয়ে ছোট ট্যুরে যেতেই পারেন লালগড়ে। প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্য, কংসাবতী নদীর বালুচর নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অরন্য সুন্দরীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ লালগড়। এই শীতে ভ্রমন পিপাসুদের কাছে নতুন গন্তব্য হতে পারে লালগড়।
লালগড়ের গিয়ে কী কী দেখবে
লালগড় রাজবাড়ীর ঐতিহ্য প্রাচিন পটের দূর্গা বা দেওয়ালী দূর্গা, রাধামোহন জিউ এর মন্দির তো আছেই, থাকছে কংসাবতী নদী ও লালগড় জঙ্গলমহলের অপার সৌন্দর্য। সাথে আসে পাশের গ্রামের শীতের সবজি কম দামে চাষিদের কাছে কেনার সুযোগ।
সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন, কংসাবতী নদীর তীরে ছোট্ট উনুনে চা ও সকালের খাবার সেরে নদীর প্রবাহমান জলে স্নান করে নিতেই পারেন। রান্নাবান্না সেরে ঘুরে আসতে পারেন মোরগ লড়াইয়ের ঠেক থেকে।মকর সংক্রান্তির দিন নদীর পাড় জুড়ে চলে টুসু গানের আসর ও টুসু রানীকে বিদায় দেওয়ার পালা।সে এক অঘোষিত উৎসব, না দেখলে বিশ্বাস করাই যাইনা।এছাড়াও নদীর পাড়ে রয়েছে মা শাঁখাসিনী, চাইলে আপনি পূজো দিতে পারেন। বুধবার বসে লালগড়ের হাট, সরাসরি চাষিদের কাছে থেকে শাক সবজি সহ নানান সামগ্রী কমদামে কেনার সুযোগ থাকছে এখানে। এছাড়াও লালগড়ের গহীন জঙ্গল সবুজ প্রেমিদের জন্য অপেক্ষা করছে। রয়েছে বুড়াবাবার থান। রাজার বাঁধ।
লালগড়ে কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম বা মেদিনীপুর বাস ও ট্রেনে যাওয়া যায়। ঝাড়গ্রাম থেকে লালগড় প্রায় ২০ কিলোমিটার, বাইকে চাইলে যেতে পারেন, রয়েছে বাস ও ছোট যানবাহনের সুবিধা যা আপনি ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথার মোড় থেকে পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে মেদিনীপুর থেকে লালগড় প্রায় ৪০ কিলোমিটার, মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসের ব্যবস্থা আছে।
লালগড়ে থাকবেন কোথায়
লালগড়ে থাকার সেভাবে কোন ব্যবস্থা নেই। আপনাকে রাত্রি যাপন করতে হলে ঝাড়গ্রামে কোন হোটেলে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে বর্তমানে লালগড়-আমকলা কংসাবতী নদীর সেতুর কাছে একটি লজ হয়েছে, থাকতে চাইলে কথা বলে নিতে পারেন।