কালীপুজো ও দীপাবলির এগিয়ে আসছে। বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে শ্যামা মায়ের পুজো। অন্যদিকে সারাদেশ দীপবলি উপলক্ষ্যে সেজে উঠবে আলোর মালায়। এই দীপাবলি উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পৌরাণিক কথন ও ধর্ম বিশ্বাস। মনে করা হয়, এই উৎসব অন্ধকারের সমাপনে আলোর আগমন।
কার্তিক মাসের অমাবস্যায় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় চারিদিক। পালিত হয় দীপাবলি। ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ায় পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু হয় দেবীপক্ষ। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ায় তর্পণ করা হয় মৃত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে। এই সময়েই তাঁদের বিদেহী আত্মারা নাকি ফিরে আসেন মর্ত্যলোকে এবং সম্পূর্ণ দেবীপক্ষের সময়কাল মর্ত্যেই বিচরণ কিরেন। এরপর কার্তিক অমাবস্যায় তাঁরা পুনরায় মরণোত্তর লোক তথা স্বর্গধামে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁদের যাত্রাপথ সুগম করতেই এই আলোকসজ্জা। প্রজ্জ্বলিত আলোর পথ ধরেই উত্তরপুরুষকে আশীর্বাদের পর ফিরে যান তাঁরা।
আবার কথিত আছে, অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। স্বয়ং রাবণ সেই দেবীর পুজোর পৌরহিত্য করেন। পূজা সমাপন হলে, দশেরার দিন রাবণকে বধ করেন রাম। এই সময়েই রামচন্দ্র বনবাস কাল সমাপন হয়। রাবণের পুষ্পকরথে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। তাঁকে আলোকমালায় সেজে উঠেছিল অযোধ্যা নগরী। সেই দিন দীপাবলি। দীপাবলি আসলে অশুভের অন্ধকারাচ্ছন্ন তমসা কেটে গিয়ে শুভ আলোকের প্রকাশ।