কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ক্রমশ এগিয়ে আসছে। কিছুদিন পরেই কালীপূজা। এই রাজ্যে রয়েছে একাধিক কালীপীঠ। পুজোর দিন জাকজমকে ভরে ওঠে সেই সব মন্দির, হয় ভক্ত সমাগম। বাঙালি মাত্রেই ভোজন রসিক। তাই জগজ্জননীকেও উৎসর্গ করার সময়েও থাকে ভোগের বৈচিত্র্য। বিভিন্ন কালীপীঠে যেমন পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভোগের মাহাত্ম্য।
দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের দেবী ভবতারিণীকে এখনও সেই একই ভোগ নিবেদন করা হয়, যা ঠাকুর রামকৃষ্ণর আমলে করা হত। সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি থাকে মায়ের ভোগে। কারন বারির পরিবর্তে ডাবের জল দেওয়া হয় মাকে।
বীরভূমের তারাপীঠের মাকে কালীপুজোর দি দুই বেলা অন্নভোগ দেওয়া হয়৷ ভোগে থাকে খিচুরি, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, মন্দিরের বলির মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। সন্ধ্যার আরতির সময় মাকে নিবেদন করা হয় লুচি ও মিষ্টি।
কালীঘাটের মন্দিরেও মায়ের ভোগে কালীপুজোর দিন থাকে অভিনবত্ব। এইদিন দিনের বেলা মায়ের ভোগে থাকে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপিভাজা, আলুভাজা, কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। রাতে মাকে নিবেদন করা হয় লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ ও রাজভোগ।