বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, পূর্ণিমার দিন ৫ মে রাত ০৮:৪৪ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে৷ চলবে রাত ০১:০২ মিনিট পর্যন্ত। এই চন্দ্রগ্রহণের নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু পুরাণে এই চন্দ্রগ্রহণকে কেন্দ্র করে রয়েছে দেব-অসুরের গল্প।
দীর্ঘ বিবাদের পর অসুর ও দেবতারা অমৃতের সন্ধানে একত্রে সমুদ্র মন্থন শুরু করেন। সমুদ্র মন্থনে এক সময় অমৃত বেরিয়ে আসে। অসুরদের ছলনার মাধ্যমে অমৃত থেকে বঞ্চিত করতে মোহিনীর ছদ্মবেশে ভগবান বিষ্ণু প্রথমে দেবতাদের এবং পরে অসুরদের অমৃত দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর মোহিনী রূপে মুগ্ধ অসুররা অমৃতের কথা ভুলে যায়। কিন্তু স্বরভানু নামক অসুর বিষ্ণুর কৌশল বুঝতে পেরে তার রূপ পরিবর্তন করে দেবতাদের সারিতে এসে বসেন। তখন দেবতাদের সারিতে বসে থাকা চন্দ্র ও সূর্য তাঁকে চিনতে পেরে ভগবান বিষ্ণুকে জানিয়ে দেন।
বিষ্ণু তখন সুদর্শন চক্র দিয়ে অসুরের ধড় ও মাথা ছিন্ন করে দেন। কিন্তু কয়েক ফোঁটা অমৃত পান করে ফেলায় স্বরভানু দ্বিখণ্ডিত হয়েও জীবিত থাকে। তার মস্তক রাহু ও ধর কেতু নামে পরিচিত। কথিত আছে, খন্ডিত ধর রাহু মাঝে মধ্যে ক্রোধের বশে চন্দ্র ও সূর্যকে গ্রাস করে। এই ঘটনাই চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ। পৌরাণিক গল্প অনু্যায়ী, গলা কাটা হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই চন্দ্র ও সূর্য রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত হয়।