সারাদেশে রাখি বন্ধন বিভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা ভাই-বোনের উৎসব হিসাবে পরিগণিত হলেও বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে তার বিভিন্নতা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক লোককাহিনী এবং ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য। তেমনই এক কাহিনী হল চিতোরের রানী কর্ণবতী ও মোগল বাদশা হুমায়ুনের রাখীবন্ধনের গল্প। যদিও এটি ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত নয়, কিন্তু লোককথা রূপে প্রচলিত।
১৫৩৫ সালে গুজরাটের সুলতান বাদশা চিতোর আক্রমণ করেন। সেই সময় চিতোরের বিধবা রানী কর্ণবতী বিভিন্ন রাজপুত রাজ্যের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। কথিত আছে, তখন মোগল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন রানী এবং তাঁকে ভাই সম্বোধন করে রাখী পাঠান। এরপর নিজের দুই নাবালক পুত্রকে গোপনে বিশ্বস্ত দাসী মারফত পিত্রালয় বুন্দিতে পাঠিয়ে নিজেই যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন চিতোর রক্ষা করতে পারেননি। বলা হয়, তিনি চিতোর পৌঁছানোর আগেই বাহাদুর শাহ চিতোর জয় করে নিয়েছিলেন। বিধবা রানী কর্ণবতী ও ১৩০০০ রাজপুত রমনী আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জহর ব্রত পালন করেন। পরে হুমায়ুন চিতোর আক্রমণ করে জয় করেন এবং কর্ণবতির পুত্র বিক্রম সিংহকে রাজা ঘোষণা করেন।