দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পেতে ‘দু’আঙুল ও তিন আঙুল পরীক্ষা’ সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ। এমনকি এই ধরনের পরীক্ষাকে ‘পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ’ আখ্যা দিয়ে এই পরীক্ষা সংঘটিত হলে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পেতে দু’আঙুলের পরীক্ষাকে মহিলাদের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছিল ২০১২ সালে তারপরেও এই পরীক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে এসেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘সেকশন ৫৩এ অনুযায়ী, কোনো মহিলার চরিত্র বা বিগত কোনো যৌন অভিজ্ঞতা বা যে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যৌনতার সম্পর্কে থাকা যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত বিচারের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত নয়।’ নিজেদের রায়ে বিচারপতিরা জানান, “যে কোনো যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কোনো ব্যক্তি দু’আঙুল পরীক্ষা সংঘটিত করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গন্য হবে।” দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে অবহিত করানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।