পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা ও মাছের পুষ্টিগুন ও অপকারিতা

পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা ও মাছের পুষ্টিগুন ও অপকারিতা

পাঙ্গাশ মাছের মাথাটি মুখের কোণের পিছনে তার দৈর্ঘ্যের সমান বিস্তৃত। তুন্ড প্রায় গোলাকার। চোখ সরু চর্বি গঠিত পাতাযুক্ত এবং আংশিকভাবে মুখের কোণের নিচের স্তরে অবস্থিত। বক্ষকাটা পৃষ্ঠকাটার তুলনায় অধিক শক্তিশালী যা সম্মুখে ধারালো কিন্তু পশ্চাতে ছোট ছোট দাঁতযুক্ত। পুচ্ছপাখনা দ্বিবিভক্ত। চর্বিযুক্ত পাখনা ছোট। পার্শ্বরেখা সম্পূর্ণ  দেহের পৃষ্ঠভাগ ঈষৎ হলুদাভ-সবুজ, পার্শ্বদিক থেকে রুপালি রক্তবর্ণের প্রতিফলন আসে, মাথার পার্শ্বভাগ সোনালি আভাযুক্ত, পাখনাগুলো হালকা লালচে-হলুদ বর্ণের হয়।

পাঙ্গাস মাছের উপকারিতা:

1: প্রতি ১০০ গ্রামে ৮০ মিলিগ্রাম (০.০৮%) আছে কোলেস্টরল ( যা খুবই যৎসামান্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকি নাই, বরং আপনাদের সুপেয় ও সুখাদ্য চিংড়িতে আছে এর তিন গুণ ।

2: প্রতি ১০০ গ্রামে ১৫ গ্রাম আছে আমিষ বা প্রোটিন রয়েছে পাঙ্গাসে (যা ইলিশ মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ গ্রাম ), সেজন্য একে পুকুরের বা গরীবের ইলিশ বলা হতো ঐ অপবাদের আগ পর্যন্ত)
3:প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৫ গ্রাম আছে চর্বি বা ফ্যাট (যা মোটেও ক্ষতিকর নয়,  এবং অনেক উপকারি ওমেগা-৩ সম্মৃদ্ধ বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বর্ধক)
প্রতি ১০০ গ্রামে কোন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট নাই (যা খুবই স্বাস্থ্যসম্মৎ, কিন্তু আপনাদের প্রিয় শেলফিশে আছে ৩-৪% ও ইলিশে ০.৭২%)
4: প্রতি ১০০ গ্রামে ৯২ কিলোক্যালরি শক্তি আছে পাঙ্গাসে
5: পাঙ্গাস মাছ ছোট বড় সব ধরনের পুকুরে সহজেই চাষ করা যায়, দামটাও অনেক কম হওয়াই, সবার সামর্থের মধ্যেই থাকে এর মুল্য। এবং সবজায়গায় পাওয়া যায় এই পুষ্টিগুন ভরা এই পাঙ্গাস মাছটি।
6: এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আইরন, ফসফরাস,  জিঙ্ক ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যথেষ্ট ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে

পাঙ্গাস মাছ খেতে নিষেধ করার কারন কি :

এই মাছে এতো পুষ্টিগুন থাকা সত্বেও না জানার কারনে আমরা হ্যালাফেলা করি

আসলে পাঙ্গাস মাছ খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় এমন গবেষণায় পাওয়া যায়নি কিছু সাধারণ মানুষ এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় এটি হয়তোবা তাদের মনগড়া একটি মতবাদ। আপনি যদি পাঙ্গাস মাছ প্রেমী  হয়ে থাকেন বা আপনার পছন্দের মাছের তালিকা পাঙ্গাস মাছ থেকে তাকে আর যদি আপনি এই মাছটি সম্পর্কে না জেনে থাকেন৷ তাহলে আপনার ধারনাটি একেবারেই ভুল, কারণ পাঙ্গাস মাছ খেলে কোন ধরনের ক্ষতি হয়  গবেষনায় এটা জানা যায়নি এমনকি এটা যে ক্ষতিকর এমন কোন প্রমানও গবেষক রা পাইনি।

পাঙ্গাস মাছের গুনাগুন:
একটি বিশেষ পুষ্টিগুণে পাঙাশ অন্য মাছের চেয়ে এগিয়ে। গবেষকেরা বলছেন, শস্যদানা, ফল বা সবজির চেয়ে উচ্চমানের আমিষ বেশি আছে মাছে। তাঁরা বলছেন, পাঙাশের মতো রুই ও তেলাপিয়াতেও উচ্চমানের আমিষ আছে।
পুষ্টিবিদেরা জানিয়েছেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড আমিষ তৈরির মৌলিক উপাদান। অ্যামাইনো অ্যাসিড কোষের দেয়াল তৈরি, দেহের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। জন্ম থেকে ৬ মাস, ৬ মাস থেকে ৩ বছর এবং ৩ থেকে ১০ বছর—এই বয়সী শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অ্যামাইনো অ্যাসিডের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা আছে। পুষ্টিনীতি নির্ধারণ ও পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়নে এই গবেষণা বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।

পাংগাস খেলে হতে পারে যে  রোগ হতে পারে:

কাঁচা লঙ্কা, সর্ষে দিয়ে পাংগাসের ঝাল, কিংবা স্রেফ ঝোল। মাসে অন্তত কয়েকবার পাতে পড়ে না, এমন বাঙালি মেলা ভার। ডায়েটিশিয়ানরাও বলেন, শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা মেটাতে ছোট মাছের বিকল্প নেই।

কিন্তু পাংগাস মাছ থেকে সাবধান। পারলে এখনই খাওয়া বন্ধ করুন। তা না হলে অ্যাস্থমা, করোনারি ডিজিজ, হাড় ক্ষয়ের মতো নানা রোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও অচিরেই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।

পাংগাস রান্না করা সহজ, কাঁটা বেশি থাকে না, খেতে সুস্বাদু। আপাত সস্তাও। সবই ঠিক আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গবেষণায় পাংগাস সম্পর্কে মারাত্মক তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন। দেখা গিয়েছে, পাংগাস মাছের থাকা উপাদান শরীরকে ধীরে ধীরে শেষ করে। এক কথায়, স্লো পয়জন(Slow Poison)।কেন পাংগাস বিপজ্জনক? পাঙ্গাস মাছ বড় হয় সাধারণ অবস্থাতেই। কিন্তু চাষ করা হয় ফার্মে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ