তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীল নাকি ‘বিক্রি’ করেছিলেন বিভিন্ন পুরসভার চাকরি এবং তাতেই হস্তগত হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা, এমনই দাবি ইডি সূত্রের।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজেন বরাত পেয়েছিল পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের। অভিযোগ, উত্তরপত্র মূল্যায়নের ভার নিজের সংস্থার হওয়ায় ওএমআর শিটে কারচুপি করা সহজ হয়েছিল অয়ন শীলের পক্ষে৷ অনুমান, যোগ্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কমিয়ে বা অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে অন্তত সাড়ে পাঁচ থেকে ছ’হাজার নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছিল অয়ন। বঞ্চিত করা হয়েছিল যোগ্য প্রার্থীদের।
অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার পরীক্ষার অনেক আসল ওএমআর শিটের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অনুমান, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিল অয়ন এবং ওএমআর শিটে কারচুপির মাধ্যমে করে দিয়েছিল চাকরি।