হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গম। কালের নিয়মে বিস্মৃত হয়েছে ঐতিহ্য। এলাহাবাদের মতোই এককালে এখানেও হত কুম্ভস্নান। এলাহাবাদের প্রয়াগে গঙ্গা, যমুনা যুক্ত হয়েছে এবং সরস্বতী সেখানে অন্তঃসলিলা। আর হুগলির ত্রিবেণী হল মুক্তবেণী। হুগলির ত্রিবেণীতে গঙ্গা, সরস্বতী মুক্ত হয়েছে এবং যমুনা এখানে অন্তঃসলিলা। কিন্তু কালের নিয়মে স্রোতস্বিনী প্রায় বিলুপ্ত। এখানে সপ্তগ্রাম একদা ছিল ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র।
বর্তমানে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অন্তর্গত এই ক্ষেত্র। লুপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শুরু হয় ঐতিহাসিক পর্যালোচনা। অবশেষে ঐতিহাসিক ভিত্তি মেলার পরে ১৩০৯ সালের পর পুনরায় মাঘী পূর্ণিমায় পুরসভার উদ্যোগে হল কুম্ভস্নান। কয়েকশো সাধুসন্ত ও পুণ্য প্রত্যাশীরা জমায়েত হয়েছিলেন।