প্রথমে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র। তারপর স্বামীকে মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্থ করে মাথায় হাতুড়ির একাধিক আঘাত মেরে বস্তায় ভরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফেলে দেওয়া হল কুয়োয়। এমনই অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলির ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ২৯ এপ্রিল এলাকার একটি কুয়ো থেকে জাঙ্গিপাড়া থানার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সনাতন মালের বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, জাঙ্গিপাড়ার মহেশপুরের সনাতনের সঙ্গে চাঁপার বছর সাতেকের বৈবাহিক সম্পর্ক। কিন্তু ভান্ডারহাটি দেউলপাড়ার বাসিন্দা বেচারাম মালিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল চাঁপার। গত ধনিয়াখালিতে ডাক্তার দেখাতে এলে পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে বেচারাম সস্ত্রীক সনাতনকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।
বেচারামের বাড়িতে মদ্যপানের পর সনাতন বেসামাল হয়ে গেলে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে ও গলায় তার পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করেন বেচারাম। তারপর বস্তাবন্দি দেহ কুয়োয় ফেলে দেয়। পরের দিন কুয়োয় দেহ ভেসে উঠলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। পরে প্রথমে চাঁপাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ও বেচারামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।