দেবী মহামায়ার সংহার রূপ, কালরূপিনী কালী। শিষ্টের পালন ও অশুভের সংহার করে সৃষ্টির স্থিতি বজায় রাখেন দেবী। দেবী মহামায়ার এই সংহার রূপ সৃষ্টির বর্ণনা আছে কালিকা পুরাণে।
পুরাণ মতে, শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামে দুই অসুর একদা ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। পাতাল ও পৃথিবীলোক জয়ের পর তারা দেবতাদেরও পরাজিত করে স্বর্গ অধিকার করে। অত্যাচার শুরু হয়। সৃষ্টি হয় অরাজকতা। দেবতাদের দেবলোক ত্যাগ করতে হয়। এই সংকট সময়ে ইন্দ্রসহ অন্যান্য দেবতারা ত্রিদেব তথা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশের শরণাপন্ন হন। তাদের উপদেশে দেবতারা আদ্যশক্তি মহামায়ার উপাসনা করেন। দেবী আবির্ভূতা হন। মা মহামায়া অবতীর্ণ হলে তিনি দেবতাদের বরাভয় প্রদান করেন এবং অসুর নিধনে তার রুদ্র রূপ ধারণ করেন। দেবীর শরীর কোষ থেকে দেবী কৌশিকীর সৃষ্টি হয়। এরপর দেবী মহামায়া কাল বর্ণ ধারণ করে কালী রূপ নেন। রূদ্র রূপে অসুর সংহার করে সৃষ্টিকে সংকট মুক্ত করেন।