দীপান্বিতা কালীপূজা হয় কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে। রাজ্যে রয়েছে একাধিক কালীপীঠ। পুজোর দিন জাকজমকে ভরে ওঠে সেই সব মন্দির, হয় ভক্ত সমাগম। এই স্থানগুলির যেমন পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে তেমনই ভোগের থাকে বিভিন্ন বৈচিত্র্য।
ভোরে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের দেবী ভবতারিণীর আরতি ভক্তদের কাছে এক বিশেষ দ্রষ্টব্য৷ ঠাকুর রামকৃষ্ণর সমকালীন ভোগ নিবেদন এখানে এখনও হয়ে আসছে। সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি থাকে মায়ের ভোগে। কারন বারির পরিবর্তে নিবেদিত হয় ডাবের জল।
বীরভূমের তারাপীঠের মা তারা এই বিশেষ দিনে কালী রূপে পূজিতা হন। এই দিন দুবেলা অন্নভোগ দেওয়া হয় দেবীকে৷ খিচুরি, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, মন্দিরের বলির মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি থাকে নিবেদনে৷ সন্ধ্যার আরতিতে মাকে নিবেদন করা হয় লুচি ও মিষ্টি।
সতীর একান্নপীঠের অন্যতম কালীঘাটের মন্দিরে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপিভাজা, আলুভাজা, কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস নিবেদন করা হয় দেবীকে। রাতে লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ নিবেদন করা হয়।