সামনেই রাম নবমী। রামের জন্মোৎসব পালিত হয় এই দিনে৷ ভারতের অন্যতম প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে ‘রামের কাহিনী’। রামকে হিন্দু ধর্মের মানুষজন ভগবান বিষ্ণুর মানব অবতার রূপে বিশ্বাস ও পুজো করেন। রাম নবমীর প্রাক্কালে জেনে নেওয়া যাক রামের জন্ম কাহিনী।
কথিত আছে রামায়ণের রচয়িতা মহর্ষি বাল্মিকী। রামায়ণ অনুসারে, অযোধ্যার সূর্যবংশীয় রাজা দশরথের তিন মহিষী ছিলেন কৌশল্যা, কৈকেয়ী এবং সুমিত্রা। কিন্তু রাজার কোনো সন্তান ছিল না৷ রাজার অনুরোধে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করেন ঋষ্যশৃঙ্গ। যজ্ঞের অগ্নি থেকে স্বয়ং অগ্নিদেব প্রকট হয়ে পায়েস পাত্র প্রদান করেন রানীদের জন্য। তা কৌশল্যা এবং কৈকেয়ীর মধ্যে সমান ভাগ করে দেন দশরথ। কৌশল্যা এবং কৈকেয়ী নিজেদের ভাগ থেকে অর্ধেকাংশ করে প্রদান করেন সুমিত্রাকে। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের মধ্যাহ্নে কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত, সুমিত্রার গর্ভে লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন জন্মগ্রহণ করেন। রামের জন্মলগ্ন রাম নবমী নামে পালিত হয়।