প্রতিটি মানুষেরই একটি স্বপ্ন থাকে। আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। “শখের বাগান” এবং সেই বাগানের সৌন্দর্য যেকোনো মানুষকেই মোহিত করে। হোক না সেটা খুবই ক্ষুদ্র।যে কোনো সুন্দর বাগানে ঘুরতে গিয়ে তার অপার ঐশ্বর্য দেখে অনেক সময় মনে হয় যেন কোনো শিল্পী তার ক্যানভাসে একের পর এক ছবি এঁকে চলেছেন। বাগানে ফুটে থাকা বিচিত্র রঙের ফুল-পাতার সমারোহ আর তার সাথে বাগান তৈরির শৈল্পিক ভাবনায় মুগ্ধ হননি এমন মানুষ সত্যিই দুর্লভ।তবে, অনেকেই ভাবেন যে, বাড়ির ছাদে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা আদতে সম্ভব নাকি। তাহলে বলে রাখি যে, আপনি চাইলেই খুব সহজে বাড়ির বাগানে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতে পারবেন। আর তার জন্য প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হল বাজার অথবা নার্সারি থেকে ভালো ও বড় বীজ কিনে আনতে হবে। বড় বীজ আনার কারণ হল তাতে ফুলগুলিও বেশ বড় বড় হবে।
এরপর চাই মাটি। তবে, মনে রাখতে হবে যে, সূর্যমুখী গাছের জন্য অল্প ভেজা মাটি হলেই চলবে। তাঁর মধ্যে জৈব সার মিশিয়ে মাটিটিকে তৈরি করে নিতে হবে গাছের জন্য। এরপর রোজ দুবেলা করে জল দিতে হবে। কিছুদিন পর দেখতে পাবেন চারা বেরিয়ে গেছে।
একটি ফ্লাট টবে ভেজা বালি গুলিকে ভরে এরপর একটা একটা করে গাছগুলিকে টবে বসাতে হবে। এরপর ৭ দিন পর গাছগুলিকে টবে বসতে হবে। যেকোনো মাটিতেই সূর্যমুখী ফুল হয়। তবে, দোয়াশ মাটিতে ভালো হয়। সূর্যমুখী ফুলের জন্য মাঝারি বা বড় মাপের ফুল হলে ভালো হয়। তবে, মনে রাখবেন ছোট চারাকে সরাসরি টবে লাগানো যাবেনা।
৭দিন পর ওই বালি থেকে চারা গুলিকে তুলে তারপর বড় বা মাঝারি সাইজের টবে লাগাতে হবে। প্রথমেই টবের ফুটো গুলোর উপর নারকেলের ছোবড়া দিয়ে দিতে হবে। এরপর সার দিয়ে তৈরি করে রাখা মাটি দিয়ে দিতে হবে টবে। এরপর চারা গুলোকে পুতে দিতে হবে। আর তারপর ভালোকরে জল দিতে হবে। একমাসেই মধ্যেই দেখতে পাবেন যে, গাছগুলি বেশ বড় হয়ে উঠেছে এবং কোনো কোনো গাছে কুঁড়িও বেরিয়েছে।
তবে, মনে রাখবেন সূর্যমুখী গাছ চাষ করতে হলে মাটি একদম অল্প ভেজা হলেই চলবে। একদম বেশি ভেজা মাটিতে সূর্যমুখী চাষ একদম ভালো হবেনা। গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে। এবং একমাস হওয়ার পরই গাছের গোড়ায় বাড়তি সার দিতে হবে। চারা লাগানোর পর থেকে ২ মাস ঠিক ঠিক পরিচর্যা করলেই আপনার বাগান ভরে উঠবে সূর্যমুখী ফুলে। তাহলে আর অপেক্ষা না করে বাড়ির ছাদেই করে ফেলুন সূর্যমুখীর চাষ।