আমের পচনরোধে কৃষক বন্ধুদের এক্ষুণি এইসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার

আমের পচনরোধে কৃষক বন্ধুদের এক্ষুণি এইসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার

ভারতের প্রধান অর্থকরী ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আম। বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার, পুষ্টিমান এবং স্বাদ গন্ধে এটি একটি অতুলনীয় একটি ফল। আম হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সেরা ফল। আম এমন একটি ফল যা ছোট থেকে শুরু করে পাকা পর্যন্ত সব অবস্থায় খাওয়া যায়। আম পছন্দ করে না এমন লোক হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তাই অনেকে আমকে ফলের রাজা বলে থাকেন। ভারতে আম চাষাবাদের এলাকা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের দেশে আম চাষে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো প্রতিহত করতে না পারলে আম চাষ লাভজনক হয় না। সারা বিশ্বেই আমের চাহিদা এবং আমদানি রপ্তানি বেড়ে চলছে। এ কারণে আমের পচন রোধ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে এখন অনেক প্রযুক্তিই যোগ হয়েছে। আমচাষিরা জানায়, “আম পুরোপুরিভাবে পরিপক্ব না হলেও বেশি দাম পাওয়ার জন্য চাষিরা গাছ থেকে আম নামিয়ে নেয়। গাছ থেকে নামিয়ে পাকানোর জন্য আমে কার্বাইড ও রাইজার, রাইপেন, হারভেস্ট স্প্রে করা হয়।

এসব রাসায়নিক অতিমাত্রায় ব্যবহার করে তাড়াতাড়ি আম পাকানো হয়। ফলে আমের ওপরের অংশ সবুজ ও হলুদের মিশ্রণ রং হলেও ভেতরের অংশ কাঁচা থেকে যায়। এসব আম খেতে টক-মিষ্টি হয়। এ ছাড়া রাসায়নিক মেশানো আম পচনরোধে ফরমালিন ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমে টিল নামের একধরনের কীটনাশক স্প্রে করার পর এসব আমে অন্তত ১৫ দিনের মধ্যে পচন ধরে না।” যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সহজ পদ্ধতিতে আমের পচনরোধে একটি বড় পাত্রে গরম পানি রেখে আমগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে ১৫ দিন সময় পেরিয়ে গেলেও আমে পচন ধরবে না।

ভারতের বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। জৈব সার, আর্সেনিকমুক্ত জল ও মাছি-পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ দিয়েই চলছে বিষমুক্ত আম উৎপাদনের কার্যক্রম। গাছ থেকে আম পাড়া, পচনরোধে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিংয়ের ওপর চাষিদের প্রশিক্ষণ শুরু দেওয়া শুরু হয়েছে।

বিঃদ্রঃ-কোন প্রকার কিটনাশক প্রয়োগের আগে ও আমের পচনরোধে বিষয়ে বিশদ জানতে আপনার এলাকার নিকটবর্তী কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ