স্বপ্ন ভাঙলো কোটি কোটি ভারতীয়ের! আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম স্তব্ধ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার অসাধারণ খেলায়! ২০০৩ সালের প্রত্যাবর্তন ঘটে একতরফা ফাইনাল হারলো ভারত। অসাধারণ খেললেন ট্রেভিস হেড। প্রায় একার দক্ষতায় ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতালেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সংগত করলেন লাবুশানে। ৬ নম্বর বিশ্বকাপ জিতে অন্যান্যদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া।
টসে জিতে এদিন বোলিং নিয়েছিলেন অজি ক্যাপটেন প্যাট কামিনস। স্টার্ক দ্রুত তুলে নেন শুভমন গিলকে। ৩১ বলে ৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রোহিত। ম্যাক্সওয়েলের বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন তিনি। মাত্র ৪ রান করেই ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার। তারপর ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কোহলি ও কেএল রাহুল। কামিনসের শর্টপিচ ডেলিভারি কোহলির ব্যাটে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়। ৫৪ রানে আউট হন কোহলি। জাদেজা, সূর্যকুমার কেউ রান করতে পারেননি। ৬৬ রান করে আউট হন রাহুল। ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ভারত। স্টার্ক নেন ৩টি উইকেন। হ্যাজেলউড ও কামিনস ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে দ্রুত ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ ও স্মিথের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সপ্তম ওভারে ৪৭/৩ হয়ে যায় তারা। কিন্তু চাপ সামলে ও ফর্মে থাকা ভারতীয় বোলার ও স্টেডিয়ামের ১ লাখ দর্শকের গর্জন থামিয়ে দেন ট্রেভিস হেড। লাবুশানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৯২ রানের পার্টনারশিপ করেন তিনি। যদিও খেলা শেষ হতে যখন ১ বল বাকি ১২০ বলে ১৩৭ রান করে আউট হয়ে যান হেড। ১১০ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লাবুশানে। ১ বল খেলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেন তাঁরা। ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।