পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কলকাতা শহরের একাধিক থানায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। আজ, তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে তলবে সাড়া দিলেন না নূপুর শর্মা। জানা গিয়েছে, ই-মেল করে কলকাতা পুলিশের কাছে আরও ৪ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য ৪ জুন পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে মামলা রুজু হয়। নূপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ , ঝাড়খণ্ডে একাধিক জায়গায় অশান্তি-বিক্ষোভ ছড়ায়। উত্তাল হয় এই বাংলার ৮ জেলা।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি ২৮ সে জুন আসানসোল স্টেডিয়ামে ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জনসভা যেন সুষ্ঠ এবং শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে হয় সেই দিক গুলি খতিয়ে দেখতে আজ সভাস্থল পরিদর্শন করতে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সভাস্থল পরিদর্শন করার আগে পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে নিরাপত্তা সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সফর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
মল্লিক বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আটতলার কার্নিশ থেকে নিচে পড়ে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আট তলায় একটি জানলা দিয়ে কার্নিশে উঠে পড়েন এক রোগী। বিষয়টি চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। সেই সময় দমকল হাইড্রোলিক ল্যাডার নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছয়। নিচে পাতা হয় ম্যাটও। ওই রোগীর আত্মীয়র মাধ্যমে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টাও করা হয়। হাইড্রোলিক ল্যাডারে তুলে রোগীর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয় মহিলা আত্মীয়কে। এমনকী কার্নিশ সংলগ্ন জানলাতেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। কার্নিশ থেকে হাত ফসকে নীচে পড়ে যান ওই রোগী। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে হাসপাতালের বাকি রোগীর পরিজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এবং হাসপাতালের ফটকের সামনে ভিড়ও জমান তাঁরা।