কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়েছিল স্কুল। শুরু হয়েছিল অনলাইন ক্লাস। গত বছর বাতিল হয়েছিল পরীক্ষাও। এই বছর স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষা দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। উত্তরপত্রের মূল্যায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই সময়ে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর উত্তরে স্তম্ভিত উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পর্ষদের আধিকারিকরা। উত্তরের বদলে উত্তরপত্র সেজেছে অশ্রাব্য গালিগালাজে।
এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা ও শিক্ষাগত উন্নতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই বিষয়ে এক মত প্রায় সমস্ত শিক্ষানুরাগী মানুষজন। তারই মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের অভিনব কীর্তি। সাধারণত মূল্যায়নের সময় বিভিন্ন কারনে অনেক সময় ছাত্র ছাত্রীদের উত্তরপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয় পর্ষদ। কিন্তু এই বছরে কিছু খাতা বাতিল হয়েছে কারন সেই খাতাগুলি ভর্তি অশ্রাব্য গালিতে।
স্তম্ভিত পর্ষদ কর্তারা অবস্থা দেখে বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবককে ডেকে পাঠান। সন্তানদের সামনেই তাঁদের দেখানো হয় ‘কীর্তিবহুল’ খাতা। সন্তানদের এই রূপ অবক্ষয় নিজেদের চোখে দেখে কয়েক জন অভিভাবক ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং কয়েকজন দুঃখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও জানা গিয়েছে।