নেশার কবলে মেদিনীপুর (Medinipur) শহর। তামাক, মদ তো ছিলই, কিন্তু তরুণসমাজ এক নতুন নেশার কবলে, কাফসিরাপ। বিকল্প মাদকদ্রব্য (Drug) হিসেবে যত্রতত্র বিকোচ্ছে কাফসিরাপ (Cuff Sirup)। মেদিনীপুর (Medinipur) শহরের অন্ধকার গলিগুলিতে, নর্দমায় প্রতি রাতে জমা হচ্ছে শত শত কাফসিরাপের খালি বোতল। নেশার এই মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে প্রমাদ গুনছেন নাগরিক সমাজ।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক কালে তরুণ সমাজের মধ্যে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কখনও বদসঙ্গে পড়ে, কখনও বা রোমাঞ্চকর অনুভূতির লোভে নেশার জগতে জড়িয়ে পড়ছেন তরুণরা৷ বিড়ি, সিগারেট, মদ, গাঁজা পেড়িয়ে এখন কাফসিরাপের প্রাদুর্ভাব। শহরবাসীর অভিযোগ, এক শ্রেণির ওষুধের দোকান অসাধুভাবে বিক্রি করছে কাফসিরাপ। যথাযথ প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই জিনিসের বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অধিক মূল্যে সেই কাফসিরাপ বিক্রি করছেন৷ আর তা সেবন করে নেশায় মাতছেন অবোধ তরুণদল।
মেদিনীপুর পৌরসভা কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ সাইফুলের অভিযোগ, মেদিনীপুরের যুবসমাজের একটি বড় অংশ এখন নেশার কবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, “দোকান থেকে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে কাফসিরাপ। হাজার হাজর বোতল মেদিনীপুর শহরের ড্রেনে, নালায় নর্দমায়, মেদিনীপুর কলেজের গলি, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সামনের গলিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এই কাফসিরাপ মাদক দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” কিছু ঔষধের দোকান প্রেসক্রিপশন ছাড়া অবৈধ ভাবে বেশি দামে এই কাফসিরাপ বিক্রি করছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন, অভিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে মেদিনীপুরের যুবসমাজকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করার জন্য।