বর্তমান সমাজে কৈশোর জীবন যখন মোবাইল ডিভাইস-এ মগ্ন তখন আদিবাসী কিশোরী তোর্সা মুর্মুর কলমে সৃষ্টি “ইকোস অফ ইনোসেন্স” (Echoes of Innocence) বই – এর আত্মপ্রকাশ হল মেদিনীপুর শহরের জ্যাক পাল রেসিডেন্সির কনফারেন্স হলে। মেদিনীপুর শহরের চিকিৎসক সুবল কুমার মুর্মুর ১৩ বছরের কন্যা তোর্সা লেখা শুরু করে কোভিড-এর সময় থেকেই। তোর্সা জানায় তার লেখার প্রথম উৎসাহ তার মা। আর এই সৃষ্টি ‘ইকোস অফ ইনোসেন্স’ তার কিশোর জীবনের যাত্রা ও চূড়ান্ত অভিজ্ঞতার প্রকাশ।
বইটির বিষয় ও তোর্সার জীবনের সাথে কোথায় মিল আছে তা জানতে চাওয়া হলে তোর্সা বলে, “আমি একজন কিশোরী এবং আমি যেকোন কিশোরীকে অনেক বেশি বুঝতে পারি। কিশোর জীবন এত সহজ নয়। মনে হয় কেউ আমাদের বোঝার চেষ্টা করে না। “ইকোস অফ ইনোসেন্স” (Echoes of Innocence) – এ অবন্তিকা সেনের জীবনের কথা তুলে ধরেছি, যেখানে একজন কিশোরী তার কিশোর বয়সে পা রাখছে। চ্যালেঞ্জ, বিক্ষিপ্ততা এবং বোঝার জন্য আকাঙ্ক্ষা এবং মনোযোগের আকাঙ্ক্ষা যা প্রায়শই জীবনের এই রূপান্তরমূলক পর্বকে সংজ্ঞায়িত করে। জীবনের পথটি কেবল গোলাপ দিয়ে তৈরি নয়, এটি কাঁটা দিয়েও তৈরি। এটি এমন একটি বই যা আমাদের অসুবিধা থেকে বিকশিত হতে বলে। কেউ এটা পড়ার পর এ থেকে কিছু শিখলে আমি খুবই উপকৃত হব। বর্তমান প্রজন্ম শুধু মোবাইল এর ব্যাস্ত না থেকে তারাও এগিয়ে আসুক তাদের নানান হবিকে সামনে রেখে তা সে নাচ, গান, কবিতা পাঠ, ছবি আঁকা, লেখা যাই হোক না কেন।”
এদিন (Echoes of Innocence) বই – এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে মেদিনীপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে স্বনামধন্য চিকিৎসকরা ছাড়াও উপ্সথিন ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের মেটিরিয়াল সাইন্স-এর প্রফেসর ভানু ভুষণ খাটুয়া, কলকাতার IBTM ডিরেক্টর স্বপন সরেন, বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা শবনম দত্ত, মেদিনীপুর কলেজের অধ্যাপক সুজিত দে,শিক্ষক সৌভিক বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের দুর্লভ চন্দ্র মান্ডি,অনিল কুমার মুর্মু সহ বিশিষ্ট শিক্ষক ও গুণীজন।