রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল আগেই। বর্তমানে বহু চাকরি বাতিল, দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের ঘোষণার পর দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা এখন পাড়ার চায়ের দোকান থেকে রেল যাত্রায় সর্বত্র। একই মধ্যে এক অভিনব বিজ্ঞাপন দেখা গেল জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্রে। সেখানে পাত্র চাই এর বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষক চলবে না।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও বিয়ের বাজারে ‘স্কুল শিক্ষক’ পাত্রের চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। বিশেষতঃ গ্রামে গঞ্জে শিক্ষক জামাই বেশ গর্বের বিষয়বস্তু ছিল। এমনকি কান পাতলেই গুঞ্জন শোনা যায়, মেয়েকে উপযুক্ত ‘শিক্ষক পাত্রে’ সম্প্রদান করতে থোক বর পন দিতেও পিছপা হতেন না কন্যার পিতারা। কিন্তু বর্তমান সময়ে একের পর এক চাকরি বাতিল, নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তকে কেন্দ্র করে ‘স্কুল শিক্ষকের’ চাকরির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে সর্বত্র। তারই প্রতিফলন ধরা পড়েছে এক দৈনিক সংবাদপত্রের পাত্র চাই বিজ্ঞাপনে। উত্তর দিনাজপুরের এক পাত্রীর জন্য বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপযুক্ত পাত্র কাম্য (স্কুল শিক্ষক ব্যতীত)’!
শিক্ষাবিদ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের বক্তব্য, শিক্ষিত বঙ্গ সমাজে শিক্ষাগুরুর প্রতি স্বাভাবিক যে শ্রদ্ধা থেকে থাকে তা এখন প্রায় অস্তমিত। যদিও অনেকেরই অভিযোগ, এর জন্য কিছুটা হলেও দায়ী শিক্ষকেরাই। বিশেষতঃ তাঁদের চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন সেই বিষয়টিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।