বিরল স্নায়ু রোগের শিকার মেদিনীপুরের রূপসা, সাহায্যের হাত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবুর

বিরল স্নায়ু রোগের শিকার মেদিনীপুরের রূপসা, সাহায্যের হাত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবুর

অন্যরকম মানবিক মুখ মেদিনীপুরে। সৌজন্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই মহাশয়। বিরল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত ৭ বছরের রূপসা মুখার্জীর স্কুলে শিক্ষালাভের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই।

মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুরের বাসিন্দা রূপসা মুখার্জী (৭) মাত্র ২ বছর বয়স থেকে জেনেটিকাল ডিসঅর্ডার এর কারণে বিরল স্নায়বিক রােগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রপির (এসএমএ) শিকার। বয়সের সাথে সাথে শরীরের হাড় এবং স্নায়ু ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তার। স্বাভাবিক হাঁটা-চলা করা, হাত-পা গুলি সঠিক ভাবে নড়াচড়া করতেও এখন অপারগ সে। দেড়-দু’বছর বয়সে কলকাতার বিখ্যাত শিশুরােগ বিশেষজ্ঞ ড. অপূর্ব ঘোষের পরামর্শে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার পরে রূপসার রোগের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। রূপসার বাবা সুমন মুখার্জি মেদিনীপুরের একটি অলংকার দোকানের কর্মচারী। অথচ অত্যন্ত ব্যয় বহুল চিকিৎসা। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতাকে সঙ্গী করেও রূপসার পড়াশোনা করার অদম্য জেদ। কিন্তু কোনো সাধারণ স্কুল রূপসা কে ভর্তি নিচ্ছিল না। বিষয়টি জানতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। মেদিনীপুর টাউন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে রূপসাকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।

আরও পড়ুন:  Medinipur: নিখোঁজ শিশু, বাড়ির সামনে খেলার সময় বেপাত্তা

এখানেই শেষ নয়! গত সোমবার থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করলেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারনে রূপসাকে প্রত্যহ স্কুল যেতে হচ্ছিল বাবার কোলে চেপে। আবারও এগিয়ে আসেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও টাকায় রূপসার জন্য কেনেন একটি হুইল চেয়ার। বুধবার বিকেলে সংসদ কার্যালয়ে রূপসাকে সেই হুইল চেয়ার উপহার দিলেন তিনি, সঙ্গে চকোলেটের বাক্স। কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে রূপসার মায়ের বক্তব্য, “মেয়েটার চিকিৎসার জন্য যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি, সংস্থা বা সরকার এগিয়ে আসে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। চেয়ারম্যান স্যার ওকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দু’দিন স্কুলে গিয়েই ওর কি আনন্দ! কৃষ্ণেন্দু স্যার ওর জন্য যা যা করলেন, সেজন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ
থাকব।” অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দুবাবু ভবিষ্যতেও সাধ্যমতো রূপসার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ