নদিয়ার গয়েশপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল গ্রাম্য বিবাদের সময় এক অন্তঃসত্ত্বা বধূর পেটে লাথি মারার। ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা।
জানা গিয়েছে, গয়েশপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের দাপট এলাকায় প্রচন্ড। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিদান না মান্য করলে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রবিবার অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা গ্রামে। ঘটনার সূত্রপাত গ্রামীণ বিবাদকে কেন্দ্র করে।
টেংরিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মান্নান শেখের মেয়ে সুলেখা খাতুন বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়ায় আসেন। কিন্তু তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় প্রায়ই তিনি বাপের বাড়ি টেংরিডাঙা গ্রামে এসে থাকতেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে তাঁর বাপের বাড়ি না আসার নিদান দেন আনোয়ার হোসেন মণ্ডল। কিন্তু ঐ গৃহবধূ তা না মান্য করায় রবিবার রাতে আনোয়ার লোকজন নিয়ে টেংরিডাঙা গ্রামে সুলেখার বাপের বাড়িতে চড়াও হন। বাড়ির মহিলাদের মারধরের পাশাপাশি সন্তানসম্ভবা সুলেখার পেটে আনোয়ার লাথি মারে বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুলেখার পরিজনদের অভিযোগ, এর ফলে সুলেখার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর শুক্রবার রাতে আনোয়ার দলবল সহ বাড়িতে ভাঙচুর করে ও পিস্তল দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়েছে। সুলেখার বাবার অভিযোগ, আতঙ্কের কারনে তাঁরা পরিবার সহ বাড়ি ছাড়া।