নান্দনিকের হেমন্ত স্মরণ

ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের কোনও মানচিত্র হয় না। পৃথিবীকে বেঁধে ফেলে এক সুতোয়। আর সৃষ্টি পৌঁছে যায় সর্বত্র। মঞ্চে আয়োজিত কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দর্শক- শ্রোতা নির্দিষ্ট সংখ্যক। ভার্চুয়াল জগতে সবই তো উন্মুক্ত। ভার্চুয়াল পৃথিবীর পরিচিত গোষ্ঠী ‘নান্দনিক’। বিভিন্ন সময় উদযাপন হয়েছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল জয়ন্তী বা কোনও বিশেষ দিন। গত ১৬ জুন নান্দনিক সংস্থা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে আয়োজন করেছিল হেমন্ত স্মরণ। প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিবসে তাদের পরিবেশনা ‘গানে গানে কথা কইব’।

কবিতা, গান, কথা আর ছবিতে স্মরণ করা হয়েছিল বাঙালির আবেগ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে। বাদ্যযন্ত্র বলতে হারমোনিয়াম। ঠিক যেন বহুকাল আগের হারিয়ে যাওয়া আবেগঘন অনাড়ম্বর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। যা আয়োজিত হত বাড়ির বাগানে বা ছাদে।

আরও পড়ুন:  এবিটিএ-এর জেলা সম্মেলন সামনেই, জোরকদমে চলছে প্রচার ও প্রস্তুতি

উপস্থাপনা করেছেন ড: চৈতালি মৈত্র, ঋদ্ধি সেনগুপ্ত ও পৃথা কুণ্ডু। তাঁদের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে কথা- গান। সব গান যে হেমন্তের তা নয়। তবু এদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েই নিবেদিত হয়েছে বিভিন্ন গান। আর প্রতিটি গানের মাঝে তাঁকে নিয়ে বাঁধা কথা। তুলে ধরা হয়েছে নানা অজানা তথ্য। আর যাঁকে স্মরণ করে এই আয়োজন সমগ্র অনুষ্ঠানটি জুড়ে রয়েছে সেই প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পীর কন্ঠে একাধিক গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংগৃহীত অডিও ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান পরিবেশনায় সহযোগিতা করেছেন সুস্মিতা হালদার। যাঁর স্মরণে আয়োজন ও যাঁরা স্মরণ করছেন তাঁরা যেন মিশে গিয়েছেন একই আবেগ ও সুরে। আন্তরিকতার গান সব যেন গাঁথা হয়েছে এক সুতোয়। এ এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। ‘সাগরের ঠিকানায় লিখো নাকো কোনও চিঠি’… না সেই চিঠির জোয়ারে ভেসে যাওয়ার ভয় নেই, আবেগের জোয়ারে আয়োজক সংস্থার সেই শ্রদ্ধার্ঘ্য পৌঁছে গিয়েছে বাঙালির হৃদয় সিংহাসনে বিরাজ করা প্রিয় সংগীত শিল্পীর কাছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ