সুস্থ্য থাকতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন। কেননা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজসহ নানা উপকারে ভরপুর এই ফলটি। মৌসুমেভেদে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায় বাংলাদেশে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য যে ফলটি তার নাম হলো কলা। এই ফলটিকে ক্যালোরির একটি ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয়।
আপনি কি প্রায়ই পেটের গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বুকজ্বালায় ভোগেন? তাহলে কলা আপনার সেরা বন্ধু। পেটে গ্যাসের সমস্যা শুরু হলে বা নিয়মিত মলত্যাগ না হওয়ার সমস্যাকে দুইটি কলা তাৎক্ষণিক উপশম প্রদান করবে।
কেউ কেউ বেশি কলা খাওয়ার বিরোধী। কিন্তু জানেন কি যখন আপনি দিনে দুটি-তিনটি কলা খান তখন আসলে আপনার শরীরে কতটা শক্তি যোগায়।
আপনি যদি ব্যায়াম করেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো করতে আপনি আরও শক্তি পাবেন। কারণ কলার কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরের শক্তি জোগাবে।
কলা চিনি সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী না হন, তবে আপনি নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
হলুদ রঙের এই কলার পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় রয়েছে পানি ৭০.১%, আমিষ ১.২%, ফ্যাট ০.৩%, খনিজ লবণ ০.৮%, আঁশ ০.৪%, শর্করা ৭.২%। খনিজ লবণ, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ৮৫মি.গ্রাম, ফসফরাস ৫০মি.গ্রাম, আয়রন ০.৬মি.গ্রাম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮মি.গ্রা.।
দানাদার চিনি দিয়ে মিষ্টি করা স্ন্যাকসও আপনাকে একই প্রাথমিক শক্তি দেবে। কিন্তু তা দ্রুত শেষ হয়ে যায়। আপনি কি কখনও মাঝরাতে পেশির ব্যথা নিয়ে জেগে উঠেছেন? যদি প্রায়ই পেশির ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনি কলা খেয়ে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন। কলাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম যা নিশ্চিত করে যে আপনার পেশিগুলো দ্রুত সংকুচিত হবে না।
এটি রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে। যদি আপনার শরীরে আয়রনের অভাব থাকে তবে নিয়মিত আপনার দুইটি কলা খেয়ে এর প্রতিকার করতে পারেন। কলা আয়রন সমৃদ্ধ এবং লোহিত রক্ত কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপাদান আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ।
আপনার অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করতে পারেন একটি কলা খাওয়ার মাধ্যমে। তাছাড়া কলা যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ তাই আপনার ডায়েট লিস্টে নিয়মিত এই হলুদ বর্ণের কলাটিকে রাখতে পারেন।