২৮ শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। ১৯২৮ সালের এই দিনেই ভারতীয় পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন আবিষ্কার করেন ‘রামন এফেক্ট’। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার পান তিনি। তাঁর প্রতি সম্মানার্থে আবিষ্কারের দিনটি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু কী এই ‘রামন এফেক্ট’ !
আলো হল তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ। সমস্ত পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু-পরমানুর সমন্বয়ে গঠিত। যে কোনো রঙের আলো হল তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ, যা কোনো বস্তুর উপর পড়লে সেই বস্তুর অনুগুলি স্পন্দিত হয়। কোনো আলো বস্তুর উপর পড়লে তা বিচ্ছুরিত হয় তিনটি বিকিরণে- বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো, কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো এবং সম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো। এই ঘটনাই রামন এফেক্ট নামে পরিচিত। এটি কাজে লাগিয়েই চিকিৎসা বিজ্ঞানে শরীরে রোগে আক্রান্ত কোষকে শনাক্তকরণ, রমন স্পেকট্রোস্কপি, অনু পরমানুর গঠন নির্ণয় ও শক্তির স্তর নির্ণয়ে সুবিধা হয়।