ভাড়াটে খুনিকে সুপারি দিয়ে স্বামীকে খুন করানোর অভিযোগে এক গৃহবধূ ও তার প্রেমিক সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, কর্ণাটকের কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে কর্নাটকের নন্দাগুড়ি গ্রামের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায় দেহটি চাম্বি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ট্রাকচালক আনন্দের। আনন্দ দিন কয়েক ধরেই নিখোঁজ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত অবস্থাতে স্ত্রী চিত্রাকে প্রায়শই মারধর করতো আনন্দ। সে সন্দেহ করতো প্রতিবেশী চলপতির সঙ্গে স্ত্রীয়ের প্রণয়ের সম্পর্ক আছে। যা কেন্দ্র করে দাম্পত্যকলহ প্রায়শই চরমে উঠতো৷
অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিত্রা যে চলপতি তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। কিন্তু বাস্তবে চলপতির সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চিত্রা৷ এরপর আনন্দকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা এঁটে চলপতির এক ভাইয়ের মাধ্যমে এক ভাড়াটে খুনির সঙ্গে যোগাযোগ করেন চিত্রা ও চলপতি। আনন্দকে হত্যার জন্য এক লাখ টাকার সুপারি দেওয়া হয়। অগ্রিম দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। খুনের সময়েও চলপতি ও চিত্রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ৷ আনন্দের দেহ উদ্ধারের পর চিত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসঙ্গতি পায় পুলিশ৷ এরপরে তাকে আটক করা হয়৷ ধরা পরে প্রেমিক চলপতি সহ চারজন। সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
