দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কৃষিভবনে তৃণমূলের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ধুমধুমার। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অবস্থানরত তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কার্যত টেনেহিঁচড়ে চ্যাঙদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুললো দিল্লি পুলিশ। অভিষেক সহ নেতামন্ত্রীদের আটক করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে।
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের বসিয়ে রেখেই দফতর থেকে বেরিয়ে চলে যান তিনি। অবস্থানরত তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।
রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বলপ্রয়োগ করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।তুলে দেওয়া হয় দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদাদের। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চ্যাংদোলা করে বের করে পুলিশ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেন, বীরবাহা হাসদা, ডেরেক ও’ব্রায়েন, অপরূপা পোদ্দারদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি নগর থানায়। পরে গভীর রাতে সেখান থেকে ছাড়া পান তাঁরা৷