আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, অন্ধ্র উপকূল এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। রবিবার পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের মাঝে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা। ওড়িশা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আগামি ৮ আগস্ট থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সঙ্গে থাকবে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের রবিবার সকালে মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর জানা যায়,হিসেবনিকেশ বোঝাতেই দিল্লি গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে তিন পাতার চিঠিতে রাজ্যের বকেয়া সমস্ত হিসেব বিস্তারিতভাবে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর। চিঠি লিখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে রাজ্য সরকার। মনরেগা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ যে অর্থ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়, তা সঠিক খাতে ব্যবহার করে না রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া অর্থের খতিয়ানও তুলে ধরে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলে নিয়ে আসার পরে প্রেসিডেন্সি জেলের ওয়ার্ড অফিসে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। খাতায় কলমে জেল বন্দি হিসাবে তাঁর নাম নথিবদ্ধ করার পরে জেলের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন৷ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা ২২ নম্বরের সেল (২) তে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । সূত্রে খবর, গতকাল রাতে রুটি, ডাল-সবজি খেয়েছেন পার্থ। ওষুধও খেয়েছেন সময়মতো। প্রাক্তন মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল ২টো কম্বল। সেগুলো পেতে মেঝেয় শুয়েছেন। সকালে চা-বিস্কুট দেওয়া হয় পার্থকে। সূত্রের খবর, অন্যান্য কয়েদিরা যে সুযোগ-সুবিধা পান এবং যে ব্রেকফাস্ট তাদের জন্য বরাদ্দ, তাই পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।