কামদুনি কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় কার্যকর হলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে, এই যুক্তিতে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দাবি করে রাজ্য। সোমবার জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনেন শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি হয় বিচারপতি গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে। সকল পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।
কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে ও ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটায় খালাস পেয়েছেন। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেছে।