কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির সাজার রায় বদলে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে ও ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটায় খালাস পেয়েছেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল এক কলেজ ছাত্রীকে। ২০১৩ সালের ৭ জুন ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য সহ দেশ। তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। চার্জশিট পেশ হয় ৯ জনের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্চিতা সরকার রায় ঘোষণা করেন। সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি এবং আমিন আলির ফাঁসির সাজা হয়। শেখ ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের আমৃত্যু জেলের সাজা হয়। অভিযুক্ত রফিক গাজি এবং নুর আলি প্রমাণের অভাবে মুক্তি পায়। অভিযুক্ত গোপাল নস্করের মৃত্যু হয় বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ঐ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সাজাপ্রাপ্তরা৷ সেই মামলাতেই শুক্রবার রায় ঘোষণা হল। কামদুনির ঘটনার পর প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা। রায় ঘোষণার পর তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রায়ের প্রেক্ষিতে দিল্লির নির্ভয়া কান্ডের আইনজীবীদের সাহায্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা৷