দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বাঙালিরা। সেখানে পিছিয়ে ছিলেননা মহিলারাও। আত্মত্যাগে বলীয়ান বাঙালি নারীরা নিজেদের তেজে ঝলসে উঠেছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের নামের সঙ্গে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে অন্যান্য মাধ্যমের ফলে আমরা ছোটবেলা থেকেই বিলক্ষণ পরিচিত। কল্পনা দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, সুহাসিনী গঙ্গোপাধ্যায়, বীণা দাস, কমলা দাশগুপ্ত, মাতঙ্গিনী হাজরাদের নাম আজও ভীষন ভাবে পরিচিত। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যেই ‘প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার’ হয়ে গেলেন “প্রীতিলতা জোয়ারদার”! সৌজন্যে বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা-উবাচ স্তম্ভিত করলো বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মতো বিশ্বজনীন মঞ্চকে।
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন গুজরাট থেকে আগত দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি গৌতম আদানি। বাংলায় বড়সড় বিনিয়োগের ঘোষণার পাশাপাশি জাতীয় ক্ষেত্রে স্বাধীনেতা পূর্ববর্তী সময় থেকে বাংলার নিষ্ঠা ও বাংলার গুরুত্বকে তুলে ধরেন তিনি। একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে বাংলার সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের উল্লেখ ছিল তাঁর বক্তব্যে। যা থেকে স্পষ্ট একজন সফল শিল্পপতি সুলভ হোমওয়ার্ক।
তাঁর পরে বক্তব্য রাখতে আসেন সম্মেলনের মূল উপস্থাপক ও আহ্বায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাল কাটে তখনই। স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম বলতে গিয়ে বাংলার মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নাম ভুলে বলেন প্রীতিলতা ‘জোয়ারদার’! যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনের মতো বিশ্বজনীন মঞ্চে একজন আহ্বায়ক ও সম্মেলনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘হোমওয়ার্ক’ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।