ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপিবল্লভপুরে জনজাতি গৌরব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলেকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের ডিএনএ-তে গন্ডগোল, তৃণমূলের ডিএনএ অসম্মানের।
বীরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আগাগোড়া ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। একদিকে বেলপাহাড়ির অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বঞ্চনার অভিযোগ এনে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গোপিবল্লভপুরে জনজাতি গৌরব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের জনসভা থেকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য নিয়েও আক্রমণ শানান সুকান্ত৷ সভার আগে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া অঞ্চলে ঠাকুরথান গ্রামে এক আদিবাসী বাড়িতে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজন সারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এইদিন সুকান্ত বলেন, “আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ আমারই মত এক বাঙালি আদিবাসী সমাজের এক মহিলা, যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি, তাঁকে অপমান করেছেন।” বিজেপি নেতার কটাক্ষ, “কিন্তু এর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৭২ ঘন্টা সময় নিয়েছেন ক্ষমা চাইতে। ৭২ ঘন্টার আগে ঘুম ভাঙেনি মুখ্যমন্ত্রীর! তার জন্যেও আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের ডিএনএ-তে গন্ডগোল। মানুষের শরীরে ডিএনএ থাকে। আমার চুল কেমন হবে, আমি দেখতে কেমন হব, আমি লম্বা হব না খাটো হব, সব ঠিক করা থাকে। ঠিক সেইভাবে পার্টির ডিএনএ থাকে। পার্টি ডিএনএ ঠিক করে দেয় সে পার্টি কেমন হবে। তৃণমূলের ডিএনএ-ই হচ্ছে অসম্মানের।”
সুকান্ত আরও বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভোটে আক্রমণ করতে গিয়ে হোদল কুতকুত, কিম্ভুতকিমাকার বলছেন। যিনি দলের নেতা, যিনি আবার বাংলার গর্ব, তিনি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই কথা বলেন তাহলে তার দলের লোকেরা কি বলবেন? যেমন গাছ তার তেমনি তো ফল হবে। ফনিমনসার কাছে কি আপেল ধরবে?” “মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তুই কোন হরিদাস? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কোমরে দড়ি পড়াবেন।” তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূল কংগ্রেসের ডিএনএ-র মধ্যে অসম্মান ঢুকে গেছে, এরা কাউকে সম্মান করে না। সকলকে অসম্মান করা এদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে।”