ইন্টারভিউয়ে ৫ নম্বরের মধ্যে ৬ পেয়েছেন প্রার্থী! এযেন এক আজব ফলাফল, আজব নম্বর! প্রাথমিকের নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে অনেকে নাকি পেয়েছেন বরাদ্দ নম্বরের চেয়েও বেশি নম্বর। এমনই অভিযোগ উঠেছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। এবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যৌথ তদন্ত করবে ইডি ও সিবিআই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
২০১৪ সালে টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সংস্থাকে। আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই সংস্থাকে। প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার্থীদের দেয় নম্বরের গরমিল নিয়ে। প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইন্টারভিউ প্রভৃতির জন্য আলাদা আলাদা নম্বর বরাদ্দ রয়েছে। অভিযোগ, সেই বরাদ্দ নম্বরের থেকে বেশি নম্বরও পেয়েছেন কেউ কেউ, অবৈধ ভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাপ্ত নম্বর।
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগে সঠিক নিয়ম মেনে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডি ও সিবিআই-কে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যদের (৮৮ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা সদস্য ব্যতীত) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। দুই তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।