রাজনৈতিক মহলের ধারণা প্রায় নিশ্চিত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। বুধবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পরে শোভন এবং বৈশাখী সেই ইঙ্গিতই দিলেন। বৈঠকের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘মমতাদির লক্ষ্য বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ।’’
বুধবার বৈঠকের পর বৈশাখী জানিয়েছেন, “দিদি-ভাইয়ের মধ্যে থাকা অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।” অন্যদিকে শোভনের বক্তব্য, “মমতাদির কাছে আসব। চা খাব। এতে আবার জল্পনার কী আছে! ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা নিশ্চয়ই আমার। কিন্তু রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত, আমার রাজনৈতিক জীবন সবটাই মমতাকেন্দ্রিক। মমতাদির ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাই আমার লক্ষ্য।”
আলোচনা প্রসঙ্গে বৈশাখী জানিয়েছেন, “রাজনীতিতে আসব কি না, সেটা সময় বলবে। দিদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শোভনও তাই। নিশ্চয়ই রাজনৈতিক আলোচনাই হবে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “শোভনের এখনও রাজনীতিতে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। আমি চাই, শোভন রাজনীতিতে আবার ফিরে আসুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওর সম্পর্ক চিরকালই ছিল। মাঝখানে একটা অভিমানের প্রাচীর তৈরি হয়েছিল। আমি আন্তরিক ভাবে খুশি, সেটা ভেঙে গিয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের ধারণা আগামী ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চে ফের তৃণমূলে দেখা যেতে পারে শোভন-বৈশাখী জুটিকে।