শুক্রবার সকাল থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ইডির দাবি পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তিনিও গ্রেপ্তার হয়েছেন এই দিন। এরপরেই সূত্রের খবর, অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি চলতো নির্দিষ্ট শৃঙ্খলের মাধ্যমে। দালাল মারফত এই শৃঙ্খল মেনে টাকা নীচু তলার নেতা থেকে উঁচু তলার নেতা এমনকি সরকারি কর্মচারীদের কাছেও পৌঁছে যেত বলে দাবি সূত্রের। যদিও GNE Bangla-র তরফে সেই দাবির সত্যতা যাচাই করা হয়নি। সূত্রের আরও দাবি, ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে জেনেছেন যে সমস্ত খামে টাকা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি পৌঁছেছে সেগুলি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতরের খাম। বর্তমানে ইডি আধিকারিকরা সেই টাকার উৎসের সন্ধান চালাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। ফলে সব মিলিয়ে সরগরম দুর্নীতি তদন্ত ও রাজ্য রাজনীতি।