কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। বরাবরের মতই ভালো প্রদর্শন পশ্চিম মেদিনীপুরের ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু ভালো ফলাফল অনেকে করে। কয়েকজন দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে। তেমনই একজন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার দেউলী গ্রামের শিবা চক্রবর্তী। বিভিন্ন প্রতিকূলতায় যে সব মানুষ হতাশ হয়ে পড়েন, তাঁদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারেন এই বারে মাধ্যমিক পাস করা কৃতি ছাত্রটি।
প্রত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান শিবা চক্রবর্তী। প্রতি মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে অপর একটি প্রতিকূলতার সঙ্গে। জন্ম থেকেই অন্ধত্বের শিকার সে। তা সত্ত্বেও হতাশ হয়ে জীবনকে দোষারোপ করেনি সে। বরং জন্মান্ধ চোখেই চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে সমস্যাগুলির সঙ্গে এবং মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৪৭ নম্বর। পদার্থবিদ্যায় ৯৯, অংক ৯৬, জীববিদ্যা ৯০, ইতিহাস ৯০, ইংরেজি ৯০, বাংলা ৮৬ পেয়েছে শিবা।
কিন্তু এই সাফল্যতেই নিজের লড়াই থামতে দিতে নারাজ সে। ঠিক করে নিয়েছে নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যও। ইতিহাস বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় শিবা। ভাল ছাত্র ছাত্রী মাত্রেই যখন সবাই ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণার স্বপ্ন দেখে। সেখানেও ব্যতিক্রমী শিবা হতে চায় শিক্ষক। সমাজে তার মতই দারিদ্র, অন্ধত্ব প্রভৃতি সমস্যায় সঙ্গে লড়াই চালাতে থাকা পড়ুয়াদের দিকে বাড়িয়ে দিতে চায় সাহায্যের হাত।