Medinipur : দারিদ্রের সাথে লড়াই করে ঘাসের শিল্প গড়েন মধু নায়েক

Medinipur : দারিদ্রের সাথে লড়াই করে ঘাসের শিল্প গড়েন মধু নায়েক

মাথার উপর ত্রিপলের ছাউনি, নিয়ত জল পড়ে! স্বীকৃতি বা অর্থ কোনটিই বিশেষ জোটেনা। তবুও দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা লতা, পাতা, ঘাস দিয়ে ঘাসের শিল্প গড়েন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের মারকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা ঘাস শিল্পী মধু নায়েক। শৈল্পিক কারিকুরিতে বাবুই ও জুন ঘাস, খেজুর পাতার বুননে তৈরি হয় দূর্গা সহ বিভিন্ন দেবদেবী, মাঝি সহ নৌকা, ফুলদানি, পেনদানি, ঝাড়ু, গয়নার বাক্স, ভানিটি ব্যাগ প্রভৃতি হরেক জিনিস।

শিল্পী মধু নায়েক লোধা সম্প্রদায়ের মানুষ। মাত্র ৬ মাস বয়সে পিতৃহারা হন। তারপর মায়ের সাথে জীবন সংগ্রাম। মায়ের কাছেই লতাপাতা দিয়ে শিল্প কর্মের প্রাথমিক শিক্ষা পান। যা তাঁর নিজের প্রচেষ্টায় শৈল্পিক উত্তরণ ঘটেছে। আর্থিক কারণে মারকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পরেই প্রথাগত শিক্ষায় ইতি। তারপর কখনও মজুর খেটে, চাষের কাজ করেও চালিয়ে গেছেন শিল্পের সাধনা। ১৯৯৫ সালে তাঁর কাজ নজরে পড়ে তৎকালীন ব্লক অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের আধিকারিক শংকর কোটালের। এরপর পরিচয় মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে পরিচয় ও তাঁর উৎসাহে ১৯৯৯ সালে কলকাতায় রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় যোগদান। যা তাঁকে পরিচিতি দেয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেলায় গিয়েছেন। তারপর আর ডাকপাননি ও যানও না।

আরও পড়ুন:  Medinipur : কংসাবতীতে নতুন ‘তর্পণ ঘাটের’ উদ্বোধন জুন মালিয়ার

সরকারের তরফে ঘর পেলেও সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ২০১৬ সালে বাড়িতে আগুন লেগে সব পুড়ে যায়। প্রায় নিঃস্ব হয়েও ফের উঠে দাড়িয়েছেন মধু। এখন শিল্পের কাজে স্ত্রী-ছেলেও সঙ্গী। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে তাঁর ছেলেও আর পড়াশোনা করতে পারেননি। পরিবারের কারও জাতিগত শংসাপত্র নেই। নেই জলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। আবেদন করেও জেলা পরিষদ মার্কেটে স্টল পাননি। রোজ সাইকেল চালিয়ে গিয়ে আইআইটি খড়গপুরের টেক মার্কেটের সামনে এসে বসেন। জোটেনি স্টল। তবুও মধু স্বপ্ন দেখেন। শিল্পের ক্লাস্টারের, বিক্রির জায়গায়, সরকারি উদ্যোগের।

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ