শশুরবাড়িতে থাকতে চান না স্ত্রী , এই ঘটনার জেরে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়।সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। এরপর সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ২০২২ ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগণার পাল্লা গ্রামের দেবাশীষ রায়ের(৩৭) সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় চাকদা নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের(২৩)। দেবাশীষ রায় কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে রেলের চাকরি করেন। দেবাশীষ রায় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে রাখতে চায়।কিন্তু বর্ণালী শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন না বলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল বাঁধতো। এরপর চাকদার রথতলা এলাকায় মাসখানেক আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন স্ত্রী ও মাকে নিয়ে।
শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেবাশীষ ও তার মা নীহারবালা রায় কে নিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে কোনোক্রমে বেঁচে যান মা নীহারবালা।ছেলে দেবাশীষ মারা যায় ট্রেনের ধাক্কায়।আর এদিকে সকাল থেকেই মেয়ের বারবার ফোনে না পেয়ে,সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন ভাড়া বাড়ির ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। এরপর জানালা দিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী রায় মেঝেতে পরে রয়েছে।
এরপরে চাকদা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারপর পুলিশ এসে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে রেলকর্মীর মা কি ভাবে আহত হলেন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত বর্ণালী রায়ের বাবা জানিয়েছেন,’ আমার মেয়ে এখানকার একটি কলেজে বিএড করছিল। তাই সে এখন তার শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইনি। এই নিয়ে ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু গন্ডগোল হতো। তারপর আজকে হঠাৎ মেয়েকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। তখন আমরা মেয়ের খোঁজে এখানে আসি এসে দেখি আমার মেয়েকে খুন করে দিয়েছে’।