পূর্বে ছিলেন তৃণমূলে। তারপর দলবদল করে পুরভোটে খড়গপুরের ৪ নং ওয়ার্ড হন সিপিআই প্রার্থী। পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের মুমতাজ কুদ্দুসিকে পরাজিত করে হন কাউন্সিলর। কিন্তু সেই সিপিআই কাউন্সিলর নার্গিস পারভিন পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। যা নিয়ে খড়গপুরের রাজনৈতিক অন্দরমহলে শুরু হয়েছে শোরগোল।
খড়গপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডটি বরাবর বাম অধ্যুষিত। বিগত পৌরভোটে সিপিআই প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর হন সেখ হানিফ। কিন্তু জয়ের পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান হন তিনি। এবারের পুরভোটে আসনটি মহিলা-সংরক্ষিত হওয়ায় তৃণমূল প্রার্থী হন শেখ হানিফের স্ত্রী মুমতাজ কুদ্দুসি। ফলে সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিনের জন্য লড়াই মোটেই সহজ ছিল না। তাঁর লড়াই ছিল মূলতঃ প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফের বিরুদ্ধে। বামেদের তরফে স্লোগান উঠে ছিল, ‘বিশ্বাসঘাতককে জবাব দিন!’
যদিও ১০৮ টি পুরসভার ভোটে সব ওয়ার্ডগুলির মধ্যে সর্বাধিক রেকর্ড ৫২১৭ ভোটে জিতে কাউন্সিলর হন নার্গিস। কিন্তু জয়ী হয়েই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁর বার্তা, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি যদি আমাকে সুযোগ দেন, কৃতজ্ঞ থাকব।” যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাম কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করছেন ভোটারদের পুনরায় প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে। অন্যদিকে নার্গিসের তৃণমূলে যোগদানের আবেদন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা।