প্রায় বছর ছয়েক আগে স্বামী ও প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল কেরোসিন ঢেলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার। ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার ভাড়াডিহি গ্রামে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে দোষী ঘোষণা করে শনিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বাঁকুড়া জেলা আদালতের চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার ভাড়াডিহি গ্রামের বাসিন্দা হারু বাউরীর সঙ্গে বিবাহ হয় পদ্মা বাউরীর। ২০১৫ সালে পদ্মা তাঁর স্বামীকে ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেলে হারু দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন রীনা বাউরীকে। কিন্তু এর পরেই পুনরায় স্বামীর কাছে ফিরে আসেন পদ্মা। অভিযোগ, ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর হারু ও পদ্মা রিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগান। গুরুতর আহত রিনাকে স্থানীয়রা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চারদিন পর চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রিনার মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ হারু ও পদ্মাকে গ্রেপ্তার করে। অবশেষে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত।