পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার নবীনমনুয়া গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ উর্মিলা দাস (৫৮) নাতনির বিয়ের সম্বন্ধ করতে বের হয়ে নিখোঁজ হন গত ৮ মার্চ। এরপরের দিন ৯ মার্চ কংসাবতী নদীর জল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর বস্তাবন্দি গলাকাটা মৃতদেহ। সেই ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে তিনজন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় গৃহবধূর গায়ে ছিল বেশ কিছু সোনার গহনা। উদ্ধার হওয়ার সময় মৃহদেহর গা থেকে উধাও ছিল সেই সব স্বর্ণালঙ্কার। উধাও হয়েছিল তাঁর ফোনটিও। তিনি একজন ফেরিওয়ালার সঙ্গে বের হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তদন্তে নামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে নিখোঁজ ফোনের সূত্র ধরে চিহ্নিত করা হয় তিন জন দুষ্কৃতিকে।
জেলা পুলিশ ও ঘাটাল মহকুমা পুলিশের নেতৃত্বে যৌথ তদন্তে শুক্রবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার হয় মেদিনীপুর শহরের ধর্মার সাগর খান, শেখ মহিবুল ইসলাম এবং সেখ শামিম আহমেদ নামে তিন দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।