চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুর পুরসভায় কাউন্সিলরদের একাংশ একাধিক অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করেছেন পৌরপ্রধান সৌমেন খানের। তা কেন্দ্র করে ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। জেলা রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, দলীয় আলোচনা উপেক্ষা করে সৌমেন খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। বুধবার মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে মহকুমা শাসকের দপ্তরে গেলেন তাঁরা।
পৌরপ্রধান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের একাংশের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ, উন্নয়নের টাকা নয়ছয়, একনায়কতান্ত্রিক ভাবে পুরবোর্ড পরিচালনা সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলেরই ১০ জন কাউন্সিলর।তাঁরা সৌমেন খানের পদত্যাগের দাবি করে গত ২৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর পুরসভায় বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ ঘটনাস্থলে এসে জানান, ২ জানুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। কিন্তু সূত্রের খবর, বাস্তবে তা হয়নি। পরিবর্তে বুধবার মেদিনীপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে হাজির হন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা হতে পারে অনাস্থা প্রস্তাব।
অন্যদিকে দলীয় কাউন্সিলরদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে যা নির্দেশ দেবে তিনি তা মেনে চলবেন। দলীয় ভাবেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর তথা মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব বিষয়টি নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখে জানিয়েছেন, “কেউ অনাস্থা আনার হলে আনবে। আমাদের কিছু আলোচনা ছিল। যা ঘটবে তা প্রকাশ্যে আনা হবে।” তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। ফলে এ’নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ গোলযোগে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মেদিনীপুরের সাধারণ মানুষ।